গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রকাশ্য বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওই ঘটনার সাড়ে পাঁচ মাস পরে ফের দু’জন আলোচনায় বসলেন সেই ওভাল অফিসে। বিষয় তখনও ছিল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। এখনও তা-ই। তবে এ বার আর কোনও বিতণ্ডা নয়। বরং, গঠনমূলক আলোচনা সারলেন ট্রাম্প-জেলেনস্কি।
সোমবারের বৈঠক থেকে রাতারাতি কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা প্রায় ছিল না বললেই চলে। তবে জেলেনস্কি এবং ইউরোপের এতজন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জেলেনস্কির মুখোমুখি বসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৈঠক শেষে নিজের সমাজমাধ্যম পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন, পুতিন-জেলেনস্কিকে আলোচনার টেবিলে বসানোর ব্যবস্থা করছেন তিনি। ওই বৈঠকের পরে ত্রিপাক্ষিক (আমেরিকা, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে) একটি বৈঠকও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কবে, কোথায় সেই বৈঠক হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যদিও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জের দাবি, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসছেন জেলেনস্কি এবং পুতিন।
জেলেনস্কিও জানান, রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য রাজি হয়েছে। তার পরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও সহমত মস্কো। তবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ক্ষেত্রে কোনও আগাম শর্ত চান না জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, তিনি পুতিনের সঙ্গে যে কোনও ধরনের আলোচনায় প্রস্তুত। তবে বৈঠক শুরুর আগে কোনও শর্ত রাখা যাবে না।
হোয়াইট হাউসে প্রথমে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক সারেন ট্রাম্প। তার পরে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন। দ্বিতীয় বৈঠক চলাকালীন তা মাঝপথে থামিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করেন ট্রাম্প। ফোনে দীর্ঘ ক্ষণ পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পরে ফের হোয়াইট হাউসের বৈঠক এগিয়ে নিয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই বৈঠকে উঠে এসেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তার প্রসঙ্গও। এ বিষয়ে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতাদেরও এককাট্টা হতে দেখা গিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর দাবি, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমেরিকার আশ্বাসই এই বৈঠক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি।
বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসের বাইরে জেলেনস্কি জানান, ইউরোপীয়দের আর্থিক সাহায্যে আমেরিকা থেকে ৯ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবে ইউক্রেন। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আমেরিকা থেকে এই অস্ত্র কেনা হবে। যদিও এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও চুক্তি হয়নি। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে বলে জানান জেলেনস্কি। পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পও জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে তাঁর প্রশাসন ইউক্রেনকে সাহায্য করবে। তাঁর কথায়, ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য প্রথমে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে ইউরোপীয় দেশগুলি। তবে আমেরিকাও তাদের সাহায্য করবে।
গত বার জেলেনস্কি একাই গিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসে। তবে এ বার আর তিনি একা নন, সঙ্গে নিয়ে যান ইউরোপের বন্ধুদেরও। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর মার্জ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ছিলেন জেলেনস্কির সফরসঙ্গী। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এবং আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো-র প্রধান মার্ক রুটও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ফলে ফেব্রুয়ারিতে যা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি যে এ বার হবে না, তা অনেকটাই অনুমান করা গিয়েছিল।
যদিও এ বারও বৈঠক চলাকালীন ইউক্রেনের মানচিত্র নিয়ে ঈষৎ বিরোধ তৈরি হয় ট্রাম্প-জেলেনস্কির। ইউক্রেনের কত শতাংশ জায়গা রাশিয়া দখল করে রেখেছে, তা নিয়ে আলোচনার সময়েই এই বিরোধ দেখা দেয়। যদিও তা বিতণ্ডার পর্যায়ে পৌঁছোয়নি। বৈঠক শেষে জেলেনস্কি নিজেই সে কথা জানান। সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, “কত শতাংশ (এলাকা দখল করা হয়েছে), তা আমি ভালই জানি।” মানচিত্র নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে, তা বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। তবে নেটো প্রধানের দাবি, ইউক্রেনের মানচিত্র নতুন করে আঁকার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি সোমবার।
সোমবারের বৈঠক থেকে রাতারাতি কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা প্রায় ছিল না বললেই চলে। তবে জেলেনস্কি এবং ইউরোপের এতজন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জেলেনস্কির মুখোমুখি বসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৈঠক শেষে নিজের সমাজমাধ্যম পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন, পুতিন-জেলেনস্কিকে আলোচনার টেবিলে বসানোর ব্যবস্থা করছেন তিনি। ওই বৈঠকের পরে ত্রিপাক্ষিক (আমেরিকা, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে) একটি বৈঠকও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কবে, কোথায় সেই বৈঠক হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যদিও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জের দাবি, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসছেন জেলেনস্কি এবং পুতিন।
জেলেনস্কিও জানান, রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য রাজি হয়েছে। তার পরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও সহমত মস্কো। তবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ক্ষেত্রে কোনও আগাম শর্ত চান না জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, তিনি পুতিনের সঙ্গে যে কোনও ধরনের আলোচনায় প্রস্তুত। তবে বৈঠক শুরুর আগে কোনও শর্ত রাখা যাবে না।
হোয়াইট হাউসে প্রথমে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক সারেন ট্রাম্প। তার পরে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন। দ্বিতীয় বৈঠক চলাকালীন তা মাঝপথে থামিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করেন ট্রাম্প। ফোনে দীর্ঘ ক্ষণ পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পরে ফের হোয়াইট হাউসের বৈঠক এগিয়ে নিয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই বৈঠকে উঠে এসেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তার প্রসঙ্গও। এ বিষয়ে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতাদেরও এককাট্টা হতে দেখা গিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর দাবি, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমেরিকার আশ্বাসই এই বৈঠক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি।
বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসের বাইরে জেলেনস্কি জানান, ইউরোপীয়দের আর্থিক সাহায্যে আমেরিকা থেকে ৯ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবে ইউক্রেন। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আমেরিকা থেকে এই অস্ত্র কেনা হবে। যদিও এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও চুক্তি হয়নি। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে বলে জানান জেলেনস্কি। পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পও জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে তাঁর প্রশাসন ইউক্রেনকে সাহায্য করবে। তাঁর কথায়, ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য প্রথমে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে ইউরোপীয় দেশগুলি। তবে আমেরিকাও তাদের সাহায্য করবে।
গত বার জেলেনস্কি একাই গিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসে। তবে এ বার আর তিনি একা নন, সঙ্গে নিয়ে যান ইউরোপের বন্ধুদেরও। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর মার্জ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ছিলেন জেলেনস্কির সফরসঙ্গী। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এবং আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো-র প্রধান মার্ক রুটও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ফলে ফেব্রুয়ারিতে যা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি যে এ বার হবে না, তা অনেকটাই অনুমান করা গিয়েছিল।
যদিও এ বারও বৈঠক চলাকালীন ইউক্রেনের মানচিত্র নিয়ে ঈষৎ বিরোধ তৈরি হয় ট্রাম্প-জেলেনস্কির। ইউক্রেনের কত শতাংশ জায়গা রাশিয়া দখল করে রেখেছে, তা নিয়ে আলোচনার সময়েই এই বিরোধ দেখা দেয়। যদিও তা বিতণ্ডার পর্যায়ে পৌঁছোয়নি। বৈঠক শেষে জেলেনস্কি নিজেই সে কথা জানান। সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, “কত শতাংশ (এলাকা দখল করা হয়েছে), তা আমি ভালই জানি।” মানচিত্র নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে, তা বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। তবে নেটো প্রধানের দাবি, ইউক্রেনের মানচিত্র নতুন করে আঁকার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি সোমবার।